বাইবেল স্টাডি
খ্রিষ্টে বিশ্বাসীদের ফোকাস করে এই আর্টিকেলটি লিখিত হয়েছে, তাই আপনি যদি খ্রিষ্টে বিশ্বাসী না হন অথবা নতুন বিশ্বাসী হন, আপনার জন্য এই লেখা বুঝা বেশ কঠিন হতে পারে।
শুধু বিশ্বাসে পরিত্রাণ নাকি কর্মযুক্ত বিশ্বাসে পরিত্রাণ। বিষয়টি নিয়ে যুগ যুগ ধরে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে এবং এখনও চলছে। এটি নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন মত পোষণ করেন যার প্রতিক্রিয়ায় দলাদলিও সৃষ্টি হয়েছে। বাইবেলে বেশ কিছু পদ আছে যেগুলো পড়ে মনে হয় স্বর্গে যাওয়ার জন্য শুধু বিশ্বাস থাকলেই হবে, এই বাইবেলেই আবার কিছু পদ আছে যা পড়লে মনে হয় শুধু বিশ্বাস যথেষ্ট নয় কিন্তু পরিত্রাণের জন্য কাজেরও প্রয়োজন আছে। এই বিতর্কিত বিষয় নিয়েই আমি ব্যাক্তিগতভাবে স্টাডি করেছি। অন্যান্য থিওলজিয়ান বা আদিপিতারা কি বলেছেন সেইসমস্ত বিষয় আমি এই স্টাডিতে নিয়ে আসবনা বরং বাইবেল কি দেখায় এবং ধ্যানে আমি কি পেয়েছি সেই বিষয়গুলো নিয়ে আসব। এই আর্টিকেলে আমি যাকোব ২ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করেছি। কর্ম নিয়ে বাইবেলে আরও অন্যান্য অংশ আছে যা আমি এখানে নিয়ে আসিনি, ভবিষ্যতে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যখন এই স্টাডি পড়বেন, তখন বেশ কিছু স্থানে মনে হতে পারে যে আমি বাইবেলের বিপরীতে কথা বলছি। আমার বিশ্বাস, আপনি যদি নিরপেক্ষভাবে পড়তে থাকেন তাহলে অনেক বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
যাকোব ২ অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি পদ আছে যা দেখিয়ে অনেকে ব্যাখ্যা দেন যে শুধু বিশ্বাস করলে হয়না কিন্তু পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য ভাল কাজেরও প্রয়োজন হয়। এটা বুঝানোর জন্য বিশেষ করে যে পদ ব্যাবহার করা হয় তা হল-
যাকোব ২ঃ২৪ (সাধারণ অনুবাদ)- তাহলে তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কেবল মাত্র বিশ্বাসের জন্যই যে ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহন করেন তা নয়, কিন্তু বিশ্বাস এবং কাজ এই দু’য়ের জন্যই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন।
এটি পড়ে মনে হয় যে শুধু বিশ্বাস থাকলে হবে না, বিশ্বাসের সাথে কাজেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু এটাই যদি সত্য হয় তাহলে বাইবেলের যে পদগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যে পাপ থেকে উদ্ধার আমাদের কর্মের ফল নয়, নিজের কাজ দ্বারা আমরা পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারি না, সেই পরিষ্কার পদগুলোর সাথে দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ তৈরি হয়। এই দ্বন্দ্ব আমরা মেটাব কিভাবে? শুধু বিশ্বাসে পরিত্রাণ পাই এবং পাপ থেকে উদ্ধার আমাদের কর্মের ফল নয়, এমন পরিষ্কার পদের কয়েকটি উদাহরণঃ
ইফিষীয় ২:৮-৯- ঈশ্বরের দয়ায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমরা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছ। এটা তোমাদের নিজেদের দ্বারা হয় নি, তা ঈশ্বরেরই দান। এটা কাজের ফল হিসাবে দেওয়া হয় নি, যেন কেউ গর্ব করতে না পারে।
অর্থাৎ এই বাক্য অনুসারে পাপ থেকে উদ্ধার কখনও কর্মের ফল হতে পারে না। এছাড়া, রোমীয় ৩:২৪- পাপ থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা হল একটি দয়ার দান। রোমীয় ৩ঃ২৬, গালাতীয় ২ঃ১৬, তীত ৩ঃ৫, রোমীয় ১১ঃ৬, রোমীয় ৫ঃ১-২ এই পদগুলোতে দেয়া আছে যে শুধু বিশ্বাসেই পরিত্রাণ। কাজের কোন কথা এসবে উল্লেখ নেই।
তাহলে কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব যে কোনটা সঠিক? আসুন বাইবেল স্টাডিতে যাই, তাহলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হতে পারে-
বাইবেল স্টাডি–
১ম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ সাধারণ অনুবাদে যাকোব ২ঃ২৪ পদে “ঈশ্বর” শব্দটি উল্লিখিত আছে। গ্রীক বাইবেলে এই ঈশ্বর শব্দটা নেই(আমি নিজে দেখেছি), Theos, Pneuma, christos নামক শব্দ এই পদে যেহেতু নেই তাই এটা ব্যাখ্যার সময় ঈশ্বর শব্দটা আমি সম্পূর্ণ বাদ দেব। কেরী অনুবাদ এবং বিভিন্ন ইংরেজি ভার্সনে এর সঠিক অনুবাদ পাওয়া যায়। নিচে আমি কেরী এবং কিং জেমস ভার্সনের অনুবাদ তুলে দিচ্ছি।
যাকোব ২ঃ২৪ (সাধারণ ভুল অনুবাদ)- তাহলে তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কেবল মাত্র বিশ্বাসের জন্যই যে ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহন করেন তা নয়, কিন্তু বিশ্বাস এবং কাজ এই দু’য়ের জন্যই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন।
যাকোব ২ঃ২৪ – তোমরা দেখিতেছ, কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়, শুধু বিশ্বাস হেতু নয়। (কেরী)
Jacob 2:24- Ye see then how that by works a man is justified, and not by faith only. (KJV)
ঈশ্বর শব্দটি না থাকলেও প্রথম দর্শনে এই পদ পড়ে মনে হচ্ছে যে পরিত্রাণের জন্য বিশ্বাস ও কাজ উভয়ই প্রয়োজন। তবে এর ঠিক আগের পদ অর্থাৎ যাকোব ২ঃ২৩ পদে লেখক নিশ্চিত করছেন যে অব্রাহাম বিশ্বাস করলেন, আর তাই ঈশ্বর তাহাঁকে ধার্মিক বলে গণিত করলেন। এই অংশটি তিনি আদিপুস্তক ১৫ অধ্যায় থেকে নিয়ে এসেছেন।
যাকোব ২ঃ২৩- তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল”, আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন।
২য় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ আদি ১৫ঃ১-৬ পদ। সদাপ্রভু অব্রাহামকে বলেছিলেন যে তাঁর বংশ আকাশের তারার অসংখ্য হবে। আদি ১৫ঃ৬ পদে আছে- “তখন তিনি সদাপ্রভুকে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভু তাঁহার পক্ষে তাহা ধার্মিকতা বলিয়ে গণনা করিলেন।” তখনও অব্রাহামের সন্তান হয়নি। ইসহাককে উৎসর্গ করার জন্য আরও অনেক পরে নেয়া হয়, আদিপুস্তক ২২ অধ্যায়ে। এই উৎসর্গের অনেক বছর আগেই অব্রাহামকে বিশ্বাসে ধার্মিক গণনা করা হয়ে গেছে। যাকোব আগে থেকেই জানতেন যে কর্ম করার আগেই ঈশ্বর অব্রাহামকে ধার্মিক বলে গণ্য করলেন। উৎসর্গ করার অনেক বছর আগেই বিশ্বাসে তিনি ঈশ্বরের চোখে ধার্মিক। এই বিষয়টা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
প্রথমে যাকোব ২ঃ১-১৩– পদ পর্যন্ত সারাংশ ব্যাখ্যা করব। পরে ১৪-২৬ পদ পর্যন্ত প্রতিটা পদ ধাপে ধাপে স্টাডি করব। (কেরী থেকে)
যাকোব পুস্তকের হালকা প্রেক্ষাপটঃ
যাকোব ১ অধ্যায়ে উল্লেখ করা আছে, লোকেরা যেন শুধু শ্রোতা না হয়ে বাক্যের কার্যকরি মানুষ হয়। এখানে অনাথ ও বিধবাদের সংগে দাঁড়ানোকে ঈশ্বরের চোখে শুচি ও বিমল ধর্ম বলে অভিহিত করা হয়েছে (যাকোব ১ঃ২২-২৭ পদ)। এই পুস্তক লেখা হয়েছে ছড়িয়ে পড়া ১২ বংশের যিহূদী খ্রিষ্টানদের কাছে (যাকোব ১:১)। যেহেতু যিহূদী খ্রিষ্টানদের কাছে লেখা তাই তারা অব্রাহামের কাহিনী ভাল করেই জানত যা যাকোব ২ অধ্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
| পদ | বাক্য | মন্তব্য |
| যাকোব ২ঃ১ | হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের- প্রতাপের প্রভুর- বিশ্বাস মুখাপেক্ষার (G4382) সহিত ধারণ করিও না। G4382- prosōpolēpsia; partiality, that is, favoritism: – respect of persons. | লোকেরা স্বজনপ্রীতি করত, ধনী গরীব, উঁচু নিচু ভেদাভেদ করত আর এই পদে যাকোব তা নিষেধ করছেন। |
| যাকোব ২ঃ২-১৩ | অনুগ্রহ করে আপনার বাইবেল থেকে পড়ে নিন। | এই অংশে দেখা যায়, লোকেরা ভাল পোশাকযুক্ত লোকদের সমাদর করত আর দরিদ্রদের তুচ্ছ করত। যাকোব ঈশ্বরের সব আইন পালন করার জন্য উৎসাহিত করেন। ৬ পদে আছে- তোমরা সেই দরিদ্রকে অনাদর করিয়াছ। অর্থাৎ স্পষ্টভাবেই বুঝা যায় ওদের মধ্যে উঁচু নিচু ভেদাভেদ চলছিল, ওরা ধনীদের সেবা করত কিন্তু দরিদ্রদের সাহায্য করত না তাই তারা অনাহারে থাকতো। |
| যীশুকে যারা বিশ্বাস করে সেই যিহূদীরা ভাল কাজ করত না, সাহায্য করত না, ধনী গরীব ভেদাভেদ করত আর এই সময় যাকোব তার এই বিশেষ বাক্য- “কর্মবিহীন বিশ্বাস মৃত” উল্লেখ করেন। | ||
| যাকোব ২:১৪ | হে আমার ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তাহার কর্ম না থাকে, তবে তাহার কি ফল দর্শিবে? সেই বিশ্বাস কি তাহার পরিত্রাণ করিতে পারে? | ** কর্ম ছাড়া বিশ্বাসের কি ফল আসবে সেই কথা এখানে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। প্রথম দৃষ্টিতে এই পদ পড়ে মনে হয়,. এই ফল হয়তো পাপ থেকে উদ্ধারের বিষয়ে বলা হচ্ছে। এখানে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, সেই বিশ্বাস কি পরিত্রাণ নিয়ে আসতে পারে? নিজের পাপ থেকে উদ্ধার ছাড়া অন্য কোন উদ্ধার বা পরিত্রাণের বিষয় বাইবেলে থাকতে পারে না, এরকম চিন্তা মাথার মধ্যে বসে থাকলে এই চিন্তা আসে যে, এই ফল শুধু পাপ থেকে উদ্ধারের বিষয়ই বুঝাচ্ছে। ** ইফিষিয় থেকে এটা পরিষ্কার যে পাপ থেকে উদ্ধার মানুষের কোন কর্মফল নয়। পাপের উদ্ধার হল যীশুর কর্মফল যা আমরা ভোগ করি। ** তাহলে এই বাক্য, “সেই বিশ্বাস কি তাহার পরিত্রাণ করতে পারে?” এর অর্থ কি? এটা কোন পরিত্রাণ? আসুন আমরা আরও সামনে আগাই। |
| যাকোব ২ঃ১৫-১৬ | কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন ও দৈনিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে, কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে? | ** একজনের খাবার অভাব আছে এবং আমার যথেষ্ট আছে। ওর অভাবের বিষয় জেনেও আমি যদি তাকে মুখে আশির্বাদ করি কিন্তু সাহায্য না করি তাহলে এর ফল কি দাঁড়াবে? ** এখানে কর্মফলের বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি খাবার বা বস্ত্র দিচ্ছি না তাই আমার অভাব হচ্ছে না, কিন্তু আমি যাকে দিচ্ছি না ওর অভাব হচ্ছে। অর্থাৎ আমার কর্মফলে আরেকজন অনাহারে বা বস্ত্রহীন অবস্থায় থাকছে। আমি আহার পাচ্ছি অর্থাৎ অনাহার থেকে উদ্ধার পাচ্ছি, বস্ত্র পাচ্ছি অর্থাৎ বস্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার পাচ্ছি কিন্তু আরেকজন অভাবী ব্যাক্তি আমার কর্মফলে অনাহার থেকে উদ্ধার পাচ্ছে না, বস্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার পাচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার যে এখানে আমার কর্মফলের কারণে আমি উদ্ধার হারাচ্ছি না কিন্তু অন্য একজন ব্যাক্তি অনাহার বা বস্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার হারাচ্ছে। |
| যাকোব ২:১৭ | তদ্রূপ বিশ্বাসও কর্মবিহীন হইলে আপনি একা বলিয়া তাহা মৃত। G2532- καί – kai= তদ্রুপ, সেইভাবে, একইভাবে। | ** তদ্রুপ শব্দ ব্যাবহার করে ১৬ ও ১৭ পদ যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দুই পদ একইরকম হবে। ** বিশ্বাস যদি কর্মবিহীন হয় তাহলে সেই বিশ্বাস কার কাছে মৃত? আগের পদের ব্যাখ্যা অনুসারে আমার বিশ্বাস যদি কর্মবিহীন হয় তাহলে এটা আমার কাছে মৃত নয়, কারণ আমি উদ্ধার পাচ্ছি। তবে আমার বিশ্বাস অন্যান্য মানুষদের কাছে মৃত যারা আমার কর্মহীনতার কারণে উদ্ধার পাচ্ছে না। অর্থাৎ যাদের কাছে কর্ম দ্বারা বিশ্বাস প্রকাশিত হচ্ছে না, ওদের কাছে আমার এই বিশ্বাস মৃত। এই বিষয়টা পরে আরও পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হবে। |
| যাকোব ২ঃ১৮ | কিন্তু কেহ বলিবে, তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কর্ম আছে; তোমার কর্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কর্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব। | ১) তোমার কর্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও। অর্থাৎ যাকোব এখানে বলছেন, লোকেরা যেন কর্ম না করে যাকোবকে নিজেদের বিশ্বাস দেখায়। (যেটা অসম্ভব) ২) আমি তোমাকে কর্ম দ্বারা বিশ্বাস দেখাইব। যাকোব লোকদেরকে কর্ম দ্বারা নিজের বিশ্বাস দেখাবে। (এটা সম্ভব) ** এই পদে যাকোব মানুষের কাছে নিজেদের বিশ্বাসকে দেখানোর কথা বলেন, ঈশ্বরের কাছে নিজেদের বিশ্বাস দেখানোর কথা তিনি এখানে বলেন নি। ঈশ্বরের কাছে যদি বিশ্বাস দেখাতে বলতেন, তাহলে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারতাম যে পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য বিশ্বাস এবং কর্ম উভয়ই দরকার। যেহেতু ঈশ্বরের কাছে কর্ম দ্বারা বিশ্বাস দেখানো প্রয়োজন নেই বরং মানুষের কাছে প্রয়োজন আছে, তাই কর্ম দ্বারা লোকদের কাছে প্রমাণিত হয় যে আমার বিশ্বাস মৃত নয় কিন্তু জীবন্ত। মানুষের কাছে কর্ম দ্বারা বিশ্বাস দেখাতে হয়। |
| যাকোব ২ঃ১৯-২০ | তুমি বিশ্বাস করিতেছ যে, ঈশ্বর এক, ভালই করিতেছ; ভূতেরাও তাহা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে। কিন্তু হে অসার মনুষ্য, তুমি কি জানিতে চাও যে, কর্মবিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়। | আমাদের বিশ্বাসের সাথে যদি কোন কর্ম না থাকে তাহলে সেই বিশ্বাস আর ভূতের বিশ্বাসের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। কেন? কারণ ভূতের বিশ্বাসেও অন্য মানুষ উদ্ধারের পথ পায় না আর আমাদের বিশ্বাসেও মানুষ উদ্ধারের পথ পায় না। তাই এই কর্মবিহীন বিশ্বাস অন্যদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোন কাজের নয়। |
| যাকোব ২ঃ২১ | আমাদের পিতা অব্রাহাম কর্মহেতু, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে আপন পুত্র ইসহাককে উৎসর্গ করণহেতু, কি ধার্মিক গণিত হইলেন না? | ** যাকোব লোকদের কাছে একটা প্রশ্ন করছেন। এই অংশে তিনি ঈশ্বরের চোখে অব্রাহামকে ধার্মিক বুঝাচ্ছেন না, কারণ তিনি যিহূদী হওয়ায় ইতিমধ্যে জানেন যে, আদি ১৫ অধ্যায় অনুসারে অব্রাহাম ইতিমধ্যে বিশ্বাসে ঈশ্বরের চোখে ধার্মিক। যাকোব ২ঃ২৩ থেকে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে তিনি আগে থেকেই জানেন। গালা ৩ঃ৬, রোমীয় ৪:৩ অনুসারেও স্পষ্ট বুঝা যায় যে অব্রাহাম বিশ্বাসে ধার্মিক হয়েছেন, কর্ম দ্বারা নয়। অতএব এই পদ দ্বারা ঈশ্বরের কাছে অব্রাহামের ধার্মিকতা বুঝানো হচ্ছে না কিন্তু হয়তো এর অন্য কোন অর্থ আছে যা আমরা বুঝি না। |
| যাকোব ২:২২ | তুমি দেখিতেছ, বিশ্বাস তাহার ক্রিয়ার সহকারী ছিল, এবং কর্মহেতু বিশ্বাস সিদ্ধ হইল। | ** এখানে ঈশ্বর দেখছেন উল্লেখ নেই, উল্লেখ আছে তুমি দেখিতেছ। অর্থাৎ ঈশ্বর কিভাবে দেখছেন এর চেয়ে মানুষ কিভাবে দেখছে সেইদিকে এই অংশ বেশি ফোকাস করছে। ** তুমি দেখছ(মানুষ দেখছে) যে কর্মহেতু বিশ্বাস সিদ্ধ হইল। যেহেতু মানুষ কিভাবে দেখে সেদিকটা বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে তাই বলা যায় যে মানুষের চোখে কর্মের কারণে বিশ্বাস সিদ্ধ হইল। অর্থাৎ এই কাজ দ্বারা মানুষের চোখে অব্রাহাম ধার্মিক গণিত হলেন, বাইবেল অনুসারে কাজের আগেই তিনি বিশ্বাসে ঈশ্বরের চোখে ধার্মিক হয়ে গেছেন। এখন মানুষের চোখেও ধার্মিক হওয়া দরকার। (ঈশ্বরের চোখে ধার্মিক = আদি ১৫ঃ৬। তিনি কাজ বা উৎসর্গ করেন আদি ২২ অধ্যায়ে) |
| যাকোব ২ঃ২৩ | তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল”, আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন। | ** অর্থাৎ কর্মের আগে শাস্ত্রের এই বচন মানুষের কাছে পূর্ণ হয়নি। কর্মের পরে পূর্ণ হয়েছে। তাই বলা যায় যে এর আগে এই বচন আংশিক ছিল যা এখন পূর্ণ হয়েছে। তবে পূর্ণ হওয়ার আগেই অব্রাহামকে ঈশ্বর ধার্মিক বলে গণনা করেছেন অর্থাৎ তিনি ঈশ্বরের লোক হয়েছেন। ** এখন প্রশ্ন হল- কিভাবে বুঝব এটা ঈশ্বরের কাছে পূর্ণতা নয় বরং মানুষের কাছে পূর্ণতা বুঝাচ্ছে? |
| যাকোব ২ঃ২৪ | তোমরা দেখিতেছ, কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়, শুধু বিশ্বাস হেতু নয়। | ** “তোমরা দেখিতেছ”। এখানেও ঈশ্বরের দেখার কোন বিষয় নেই। ** “কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়, শুধু বিশ্বাস হেতু নয়।” ** কার কাছে কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়? উত্তর হলঃ মানুষের কাছে। কারণ শাস্ত্রের বিভিন্ন পদ অনুসারে শুধু বিশ্বাসে ঈশ্বরের কাছে মানুষ ধার্মিক গণিত হয়। অতএব এই পদে কর্ম দ্বারা অবশ্যই মানুষের কাছেই মানুষ ধার্মিক গণিত হবে। কর্ম দ্বারা মানুষের চোখে একজন ব্যাক্তি ধার্মিক এবং অধার্মিক গণিত হয় এটা বাস্তবে প্রমাণিত। আপনিও কর্মের মধ্য দিয়েই হয়তো ধার্মিক অধার্মিক গণনা করেন। |
| যাকোব ২ঃ২৫ | আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই প্রকারে কর্মহেতু ধার্মিকা গণিত হইল না? সে ত দূতগণকে অতিথি করিয়াছিল, এবং অন্য পথ দিয়া বাহিরে পাঠাইয়া দিয়াছিল। | ইব্রীয় ১১ঃ৩১– রাহব বেশ্যা বিশ্বাসে ইস্রায়েলীয় চরদের সাহায্য করার কারণে বিনষ্ট হননি। ** এক্ষেত্রে রাহব বেশ্যা বিশ্বাসে সাহায্য করেছিল বলেই লোকদের কাছে ধার্মিক গণিত হয়, পরে তাকে ও তার পরিবারকে ধ্বংস থেকে পরিত্রাণ দেয়া হয়। অর্থাৎ রাহবের বিশ্বাসের সাথে কাজ থাকার কারণে নিজের পরিবারের লোকেরাও উদ্ধার পেয়েছিল। এই উদ্ধার এবং যীশুর উপর বিশ্বাসে পাপ থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। রাহবের কাহিনী দ্বারা পাপ থেকে উদ্ধারের বিষয় বুঝানো হচ্ছে না, কারণ আমি যীশুর উপর বিশ্বাস করলে আপনি পাপ থেকে উদ্ধার পাবেন না। কিন্তু এখানে রাহবের বিশ্বাসের কারণে পরিবারের অন্যেরাও উদ্ধার পেল। অর্থাৎ এই বিশ্বাস এবং যীশুর উপরে বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এখানে রাহব বিশ্বাসে বাধ্য হয়েছিল, সেই বাধ্যতায় অন্যেরা উদ্ধার পেয়েছিল। অর্থাৎ এখানেও প্রকাশ পাচ্ছে যে বিশ্বাস এবং কাজ থাকলে নিজে এবং অন্যেরা উদ্ধার পাবে। এটা পাপ থেকেই উদ্ধার এরকম নয় কিন্তু হয়তো জাগতিক বা মানসিক কোন বাঁধা থেকে উদ্ধার। |
| যাকোব ২:২৬ | বাস্তবিক যেমন আত্মাবিহীন দেহ মৃত, তেমন কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত। | আত্মাবিহীন দেহ মৃত। এই দেহ অন্যের উদ্ধারের জন্য কোন কাজ করতে পারবে না। এই দেহে যে আত্মা ছিল সে যীশুকে গ্রহণ করে স্বর্গে যেতে পারে, কিন্তু ওর দেহ এখন আর কোন কর্ম করতে পারবে না। ঠিক তেমনই যীশুর উপর বিশ্বাস আমাদের স্বর্গে নেবে ঠিকই, কিন্তু এই বিশ্বাসের সাথে কোন কাজ যুক্ত না থাকলে তা অন্যদের কাছে মৃত। কারণ এই বিশ্বাস অন্যদের উদ্ধারের জন্য কোন কাজ করে না। |
যাকোব ২ঃ১৮ পদটি যদি গভীরভাবে ব্যাখ্যা করি তাহলে এটা আরও স্পষ্ট হয়।
যাকোব ২ঃ১৮ঃ কিন্তু কেহ বলিবে, তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কর্ম আছে; তোমার কর্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কর্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব।
এখানে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে ওরা ঈশ্বরের কাছে নিজেদের বিশ্বাসকে প্রমাণ করছে না কিন্তু মানুষের কাছে প্রমাণ করছে। তাই কাজ দ্বারা আমরা ঈশ্বরের কাছে গৃহীত হই না কিন্তু মানুষের কাছে প্রমাণ করি এবং সত্য বিশ্বাসী বলে গৃহীত হই। সত্য বিশ্বাস থাকলে একসময় কর্ম আসার কথা কিন্তু এই কর্ম কখনও পাপের পরিত্রাণ দেয় না। কারণ কাজ করার আগেই ঈশ্বর অন্তর জানেন যে কে বিশ্বাস করে আর কে করে না।
মানুষের কাছে বিশ্বাসে গৃহীত হওয়ার উদাহরণঃ
(পুরোপুরি উপযুক্ত উদাহরণ নয়, তবে কিছুটা সাহায্য হবে আশা করি।)
একজন মানুষ বিশ্বাস করে এবং মুখেও বলে যে ধূমপান খারাপ, অথচ সে নিজে ধূমপান করে। অন্যান্য মানুষ কিভাবে বুঝবে সে নিজের কথা বিশ্বাস করে? যদি সে নিজে ধূমপান বন্ধ করে। এক্ষেত্রে নিজে ধূমপান বন্ধ করলে ধূমপানের বিরুদ্ধে তার শিক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে এবং এইভাবে সে অন্য নেশাগ্রস্থদের উদ্ধারেও সাহায্য করতে পারবে।
একটি বিশ্বাস যদি নিজের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে না আসে তাহলে বাইরে প্রমাণ হয় যে সে নিজে যা বলে তা নিজেই বিশ্বাস করে না। একজন মানুষ মুখে বলে যে সে যীশুর সুসমাচারে বিশ্বাস করে, কিন্তু সে যদি যীশুর মত হওয়ার জন্য কোন পদক্ষেপ না নেয়, যদি নিশ্চয়তার সাথে অন্যদের পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য যীশুর বিষয় প্রচার করতে উৎসাহী না হয়, তাহলে লোকদের কাছে প্রমাণ হয় যে সে হয়তো আসলে বিশ্বাস করে না। তার বিশ্বাস মৃত বলেই সে অবিশ্বাসীদের কাছে প্রচার করে না, এবং এই কারণে এরকম বিশ্বাসী অন্যদের উদ্ধারের পথে কোন সাহায্য করতে পারছে না। এদের বিশ্বাস লোকদের কাছে মৃত। নিজেরা হয়তো পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে কিন্তু অন্যদের কাছে তার বিশ্বাস মৃত। অর্থাৎ সারাংশ হল যাকোব ২ অধ্যায় কখনোই প্রকাশ করে না পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য কাজের প্রয়োজন। এটা প্রকাশ করে অন্যদের উদ্ধারের জন্য বিশ্বাস ও কাজের প্রয়োজন। বিশ্বাস ও কাজ অন্যদের সামনে আমাদের বিশ্বাসকে সিদ্ধ বা পূর্ণতা দান করে।
যাকোব ২ অধ্যায় শেষ হল- এখন একটু ভিন্ন বিষয়।
অনেকের মুখে শুনেছি, পাপ থেকে পরিত্রাণ নাকি হারিয়ে যেতে পারে। একবার পরিত্রাণ পেলেও তা ঈশ্বর আবার তুলে নিতে পারেন। আসলেই কি তাই? তাহলে আমাদের নিশ্চয়তা কোথায়? পবিত্র আত্মার সীল কি তাহলে কাজ করে না? ঈশ্বর কি তাহলে নিজের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন?
পুরাতন নিয়মে আপনি দেখতে পাবেন, ঈশ্বরের শর্তযুক্ত প্রতিজ্ঞাগুলো মানুষ হারাতে পারে, যেমন ইস্রায়েল জাতি প্রতিজ্ঞাত দেশ হারিয়েছিল কারণ দেশ দেয়ার প্রতিজ্ঞা ছিল শর্তবিহীন, কিন্তু দেশে টিকে থাকতে পারবে কিনা সেই বিষয়টা ছিল শর্তযুক্ত। শর্তবিহীন প্রতিজ্ঞা ঈশ্বর কখনও তুলে নেন না। কিন্তু শর্তযুক্ত প্রতিজ্ঞা মানুষ হারাতে পারে। যীশুর মধ্য দিয়ে পাপ থেকে উদ্ধার একটি শর্তবিহীন প্রতিজ্ঞা, এর জন্যই তিনি পবিত্র আত্মার সীল দিয়েছেন যে সীল কখনও উঠবে না।
আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার বা পাপ থেকে পরিত্রাণ হারাতে পারি। কোন পদ দেখে আপনার মনে হয় যে আমরা পরিত্রাণ হারাতে পারি সেটা দয়া করে আমাকে একটু জানান। আমি উপরের মত স্টাডি করে আমার উত্তর দেব। অনেক সময় আমরা আত্মিক পরিত্রাণ ও জাগতিক পরিত্রাণের পদ এক করে ফেলি এবং বলি যে পাপের পরিত্রাণ হারানো যায়। অনেক সময় ঈশ্বরের শর্তযুক্ত প্রতিজ্ঞা ও নিঃশর্ত প্রতিজ্ঞা এক করে ফেলি এবং বলি পরিত্রাণ হারানো যায়। অনেক সময় ঐতিহাসিক ঘটনার পরিত্রাণ এবং পাপের পরিত্রাণ এক করে ফেলি এবং বলি যে পরিত্রাণ হারানো যায়। অনুগ্রহ করে আপনি নিজের প্রশ্ন এবং বাইবেল থেকে পদ পাঠান, সময় পেলে আমি সেই পদ নিয়ে স্টাডি করব।
পরিত্রাণের জন্য কর্ম লাগে, এই ধরণের ব্যাখ্যার সময় আমাদের সাধারণ ভুলগুলো হল-
১) সন্তান হওয়া এবং শিষ্য হওয়ার মধ্যে পার্থক্য না বুঝা। যীশুর মধ্য দিয়ে আমরা সন্তান হওয়ার অধিকার পাই যা ঈশ্বর কখনও তুলে নেন না। সন্তান হওয়ার জন্য আমাদের কোন যোগ্যতা এবং কর্ম লাগে না। শিষ্য হওয়ার জন্য যোগ্যতা ও কর্ম লাগে, শিষ্য হওয়ার জন্য ক্রুশ বহন করা দরকার। শিষ্যত্ব আমরা হারাতে পারি কিন্তু সন্তানের অধিকার হারাই না। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য না করে যখন ব্যাখ্যা করা হয় তখন মানুষ বলে যে পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য কর্ম লাগে। যীশুকে গ্রহণ করে সবাই ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে, কিন্তু কর্ম না করে বা নিজের ক্রুশ বহন না করে কেউ যীশুর যোগ্য শিষ্য হতে পারে না। বাইবেলে শিষ্য এবং সন্তানের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য বিদ্যমান। স্বর্গে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরের সন্তান হওয়া আবশ্যক, শিষ্য হওয়া নয়। যীশুর কথানুসারে তাঁকে গ্রহণ করে আমরা ঈশ্বরের সন্তান হই, আর তাঁকে অনুসরণ করে তাঁর শিষ্য হই। যীশুর শিষ্য না হয়ে ঈশ্বরের অপরিপক্ক সন্তান হয়ে থাকলে আমি নিজেই পৃথিবীতে অভিশাপ টেনে নিয়ে আসব যা ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়।
২) জাগতিক পরিত্রাণের পদকেও পাপ থেকে পরিত্রাণের পদ মনে করা এবং সেইভাবে ব্যাখ্যা করা।
৩) ঈশ্বরের শর্তযুক্ত প্রতিজ্ঞা এবং শর্তহীন প্রতিজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য না বুঝা, পরে শর্তযুক্ত প্রতিজ্ঞার মধ্যে পাপ থেকে উদ্ধারের বিষয়কে ঢুকিয়ে দেওয়া।
৪) আমার আগের ভুল চিন্তাকে ঠিক প্রমাণিত করার জন্য নিজের ভুলকে স্বীকার না করা। অহংকারে নিজের ভুল ধরে রাখা।
৫) আগে যা শিক্ষা পেয়েছি তা যে ভুল হতে পারে সেটা কল্পনাও না করা।
৬) বাইবেলে অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে বলা পদ এবং বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে বলা পদ মিশিয়ে একটি মাত্র ব্যাখ্যা তৈরি করা। ইত্যাদি।
অনুগ্রহ করে নিজের চিন্তাকে যাচাই করুন, আমাকেও সংশোধন করুন যেন নিজের ভুল আমি সংশোধন করতে পারি।
ধন্যবাদ।
পূর্ণ সুসমাচারের লিংক- যদি সুসমাচার পড়তে চান- https://gospel.theenglisharticles.com/banglagospel/
আমাদের এই যাত্রায় সাথে দাঁড়াতে চাইলে এবং প্রশ্ন পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-
simplelearner77@gmail.com
(ব্যস্ততার কারণে যদি উত্তর দিতে দেরী হয় মার্জনা করবেন।)